এক অধ্যায় – রিসাফল করা প্রশ্নোত্তর (প্রশ্ন নম্বরসহ)
১. মাকু ঘড়িওয়ালাকে খুঁজছে কেন ?
উঃ। মাকু সব করতে পারে, শুধু হাসতে আর কাঁদতে পারে না। তাই সে ঘড়িওয়ালাকে খুঁজছে হাসার ও কাঁদার কল বসিয়ে নেওয়ার জন্য।
২. পানুয়া কে ?
উঃ। তোতাদের আয়ার ছোটো ভাইয়ের নাম পানুয়া।
৩. সোনাদের বাড়িতে কারা আসবে ?
উঃ। সোনাদের বাড়িতে সোনার পিসি, পিসেমশাই ও পিসির খোকা আসবে।
৪. ঘড়িওয়ালা কী বানিয়েছে এবং তার নাম কী দিয়েছে ?
ঊঃ। ঘড়িওয়ালা ঘড়ির যন্ত্র দিয়ে একপ্রকার রোবোট বানিয়েছে। তার নাম দিয়েছে মাকু।
৫. কারা কেন বলেছিল পিসেমশাইকে চুলবুলিতে ধরেছে ?
উঃ। গোরু খুঁজতে গিয়ে পিসেমশাই-এর সাতদিন সারা গা চুলকে দাগড়া দাগড়া ঢাকায় ভরে গিয়েছিল, পাড়াশুদ্ধ লোক বলেছিল তাঁকে চুলবুলিতে ধরেছে।
৬. মোড়ল কী বলেছিল ?
উঃ। মোড়ল বলেছিল পিসেমশাইয়ের বাঁচার কথাই ছিল না, নেহাত কানের কাছ দিয়ে ঘেঁসে কোনোমতে বেরিয়ে গেছে।
৭. কালিয়ার বন সম্পর্কে কী কথা প্রচলিত আছে ?
উঃ। কালিয়ার বন সোনা-টিয়াদের গ্রামের এক প্রান্তে অবস্থিত। প্রচলিত আছে, সেখানে গেলে কেউ ফেরে না। যারা ফেরে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে।
৮. মাকুর চাবি দেবার জায়গাটি কেমন ?
উঃ। মাকুর চাবি দেবার জায়গাটি ছোটো, মাকুর পিঠের মধ্যিখানে বসানো। কান খুসকি দিয়ে ঘোরাতে হয়।
৯. কোন জায়গা থেকে কেউ আস্ত ফেরে না ?
উঃ। কালিয়ার বন থেকে কেউ আস্ত ফেরে না।
১০. সার্কাসের জাদুকর কী দেখাল ?
ঊঃ। সার্কাসের জাদুকর বাঁশি বাজিয়ে জাদুর রাজকন্যে দেখাল।
১১. আম্মা নিজের চোখে কালিয়ার বনে কী দেখেছিলেন ?
ঊঃ। কালিয়ার বনের ভয়ংকরের গা থেকে গুলি ঠিকরে পড়া আম্মার নিজের চোখে দেখা।
১২. সোনাদের বাড়ি থেকে কালিয়ার বন অবধি যাবার পথের বিবরণ দাও।
উঃ। সোনাদের বাড়ির গলি পেরিয়ে বড়ো রাস্তা, তারপর গির্জা, তারপর গোরস্থান। এই গোরস্থানের শুনশুনির মাঠ। সেই শুনশুনির মাঠ পেরোলে তবেই কালিয়ার বন।
১৩. ঘড়িওয়ালার তৈরি করা যন্ত্র “মাকু” কী কী করতে পারে ?
উঃ। ঘড়িওয়ালার তৈরি করা ‘মাকু’ কথা বলে, গান গায়, নাচে, হাতুড়ি পেটে, দড়ির জট খোলে, পেরেক ঠোকে, ইস্ত্রি চালায়, রান্না করে, কাচে, সেলাই করে এবং মানুষের মতোই সমস্ত কাজ করতে পারে।
১৪. আম্মা কে ?
উঃ। আম্মা সোনাটিয়ার বাপির ধাইমা। বাপি তাঁকে আইমা বলে ডাকেন।
১৫. কালিয়ার বনে কে গোরু খুঁজতে গিয়েছিলn?
উঃ। আম্মার মামাতো পিসেমশাই কালিয়ার বনে গোরু খুঁজতে গিয়েছিল।
১৬. কালিয়ার বনে কী কী আছে বলে সোনা-টিয়া বলেছিল ?
উঃ। সোনা ও টিয়া বলেছিল কালিয়ার বনে বড়ো বড়ো লাল-নীল-বেগুনি প্রজাপতি ও কাঠঠোকরা পাখি আছে।
১৭. আম্মার উঠতে-বসতে কষ্ট হয় কেন ?
উঃ। আম্মার পায়ে গুপো, তাই উঠতে-বসতে কষ্ট হয়।
দুই অধ্যায় – রিসাফল করা প্রশ্নোত্তর (প্রশ্ন নম্বরসহ)
১. সোনা ও টিয়া একটু চলেই কোথায় পৌঁছে গেলn?
উঃ। সোনা ও টিয়া একটু চলেই বটতলার সরাইখানায় পৌঁছে গেল।
২. ঘড়িওয়ালার মা কোন্ খাবার ভালো বানাতে ?
উঃ। ঘড়িওয়ালার মা খুব ভালো সরুচাকলি বানান। তা একবার খেলে আর ভোলা যায় না।
৩. সার্কাসের সং-এর পোশাকের রং কী ছিল ?
উঃ। সার্কাসের সং-এর পোশাকের রং ছিল আধখানা নীল ও আধখানা লাল।
৪. ঘড়িওয়ালার দেওয়া হ্যান্ডবিলটা কী রঙের ছিল ?
উঃ। ঘড়িওয়ালার দেওয়া হ্যান্ডবিলটা গোলাপি রঙের ছিল।
৫. সার্কাসের দলটিতে কারা ছিল? তারা কে কীভাবে এল ?
উঃ। সার্কাসের দলটিতে প্রথমে ছিল দুটি ঘোড়া। তাদের তাড়িয়ে আনল টুপি পরা দুটি বাঁদর, তাদের পিছনে এর গলায় ঘন্টা বাঁধা একটি ছাগল, তাদের পিছনে মোটা মোটা দুটো ভালুক, ছটি কোঁকড়ালোম ছোটো কুকুর ও সবার শেষে ছিল আধখানা লাল নীল পোশাক পরা একটি সং।
৬. হোটেলে সোনা ও টিয়া কী কী খেয়েছিল ?
উঃ। হোটেলে সোনা ও টিয়া রুটি আর সুরুয়া খেয়েছিল।
৭. ঘড়িওয়ালা এখন কী নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে ?
উঃ। ঘড়িওয়ালা এখন কতগুলো কাপড়, কাগজ আর কাঠ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
৮. অধিকারী মশাই কী না দিয়ে পালিয়ে গেছেন ?
উঃ। অধিকারী মশাই মাঠের ভাড়া, তাঁবু আর গ্যাসবাতির দাম না দিয়েই পালিয়ে গেছেন।
৯. রাডার যন্ত্র দিয়ে মাকু কী করে ?
উঃ। রাডার যন্ত্র দিয়ে মাকু ধাতু খুঁজে বের করে।
১০. সোনা ও টিয়ার বয়স কত ?
উঃ। সোনার বয়স ছয় আর টিয়ার বয়স পাঁচ বছর।
১১. মাকুর হাতের-পায়ের নখের তলায় কী লাগানো আছে ?
উঃ। মাকুর হাতের-পায়ের নখের তলায় রাডার যন্ত্র লাগানো আছে।
১২. মাকুকে দেখতে কেমন ?
উঃ। মাকুর মাথায় সুন্দর লালচে চুল। ছাই রঙের চকচকে চোখ আর নাকের উপর বড়ো তিল।
১৩. সোনা ও টিয়াকে কে কোলে করে নিয়ে গেল ?
উঃ। সোনা ও টিয়াকে মাকু কোলে করে নিয়ে গেল।
১৪. কালিয়ার বন কেমন ? সংক্ষেপে বনটির বর্ণনা দাও।
উঃ। কালিয়ার বনের গাছগুলি খুব বড়ো বড়ো। মাথার উপর তারা যেন শামিয়ানা খাটিয়ে রেখেছে। পাতার ফাঁক দিয়ে এখানে-ওখানে রোদ এসে পড়ছে। শুকনো পাতা পড়ে পায়ের নীচে গালচে হয়ে গেছে। ছোটো ছোটো ঝোপঝাড়ে নানা রকমের ফুল ফুটেছে। চারিদিকে একটা সবুজ আলো ছড়িয়ে আছে।
১৫. মাকু কী বলে সরাইখানায় যেতে চাইল ?
উঃ। মাকু বললো পয়সাও করতে পারি, গোলমাল করতে পারি, হইচইও করতে পারি। এই বলে সে সরাইখানায় খানিকটা হইচই করতে যেতে লাগল।
তিন অধ্যায় – রিসাফল করা প্রশ্নোত্তর (প্রশ্ন নম্বরসহ)
১. গাছের উপর ঘরটি কেমন ছিল ?
উঃ। গাছের গায়ে সিঁড়ির মতো খাঁজ কাটা, আট-দশটি ধাপ উঠতেই ডালপালার মধ্যে কাঠের তক্তা দিয়ে তৈরি একটি সুন্দর ঘর। বাতাস বইলে সেটি দোলনার মতো দোলে। সেখানে শুকনো পাতার উপর নীল...
২. সার্কাসের লোকেদের জঙ্গলে থাকতে হয়েছিল কেন ?
উঃ। সার্কাসের অধিকারীমশাই সার্কাসের জন্য ঝাড়বাতি কিনে, সকলের জন্য নতুন পোশাক বানিয়ে, চারিদিকে নতুন খেলার বিজ্ঞাপন দিয়ে, খেলা শুরু হবার আগেই কোনো জিনিসের দাম না-দিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। অধিকারীমশাই নিখোঁজ, তাই ওদের নামেই পরোয়ানা বেরিয়েছে। তাই সার্কাসের লোকেরা জঙ্গলে থাকে।
৩. খরগোশ দিয়ে কী হবে ?
উঃ। খরগোশ দিয়ে কালিয়া হবে।
৪. হোটেলওয়ালা সোনা ও টিয়াকে কী কাজ করতে এবং কীভাবে করতে বলেছিল ?
উঃ। হোটেলওয়ালা সোনা ও টিয়াকে খাবার জায়গা করা, বাটি ধুয়ে দেওয়া আর ঝাটপাট দেওয়ার কাজ করতে বলেছিল। আর গাছের ঘরে থাকতে এবং গাছের ধারে ছোটো ঝরনায় চান, কাপড় কাচা ও বাসন ধুতে বলেছিল। এর জন্য কোনো পয়সাকড়ি যে লাগবে না সেটাও সে বলেছিল।
৫. জাদুকরের পোশাক কেমন ছিল ?
উঃ। জাদুকরের মাথায় লম্বা চোঙার মতো টুপি আর গায়ে ছিল চকরা বরা মাটি অবধি ঢোলা জামা, তার হাতা ঢলঢলে।
৬. হোটেলওয়ালার চেহারা কেমন ?
উঃ। হোটেলওয়ালার মুখভরা ঝুলো গোঁফ আর থুতনি ছাই রং-এর দাড়িতে ঢাকা। দেখে মনে হয় যেন ধোপার বাড়ি থেকে ফিরেছে।
৭. সোনা ও টিয়া পুতুলদের জন্য কী কী রান্না করেছিল ?
উঃ। সোনা ও টিয়া পুতুলদের জন্য কাদা দিয়ে ভাত বানায় আর গাঁদা ফুলের পাতা দিয়ে মাছ রান্না করে।
৮. কে কোথায় খরগোশ ধরবার ফাঁদ পেতেছিল ?
উঃ। হোটেলওয়ালা বনের মধ্যে বাঁশতলায় খরগোশ ধরবার ফাঁদ পেতেছিল।
৯. শোনা ও টিয়ার সাথে যারা হোটেলে খাচ্ছিল তারা কোথাকার লোক ?
উঃ। যারা হোটেলে খাচ্ছিল তারা সার্কাসের লোক।
১০. টিয়া আর সোনার কথা কান্না শুনে কারা এসেছিল ?
উঃ। কান্না শুনে গাছ বেয়ে মাকু, হোটেলওয়ালা, সং আর সাতজন দড়াবাজির ওস্তাদ এসেছিল।
১১. মাকু যাতে রাতে পালাতে না পারে তার জন্য সোনা কী করেছিল ?
উঃ। সোনা পুঁটলির মুখের বড়ো সেফটিপিন দিয়ে নিজের ফ্রকের সঙ্গে মাকুর জামার কোণটা এঁটে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল। যাতে মাকু রাতে পালাতে না পারে।
১২. রাতে সোনারা কোথায় ঘুমিয়েছিলb?
উঃ। রাতে সোনারা গাছের কোঠরে ঘুমিয়েছিল।
১৩. বটতলার হোটেলটি কেমন ছিল ?
উঃ। হোটেলটা ছিল একটি গাছ। গাছের ডাল থেকে কয়েকটা লণ্ঠন ঝুলছে। বটগাছের নীচু নীচু ডালে লোকে পা ঝুলিয়ে বসে আছে। গাছ থেকে রাশি রাশি ঝুরি নেমেছে। গাছের গোড়ায় পাথরের উনুনে গনগনে আগুনের উপর পিতলের হাঁড়িতে রান্না হচ্ছে। গাছের গুঁড়ির উপর কাঠের তক্তা ফেলে খাওয়াদাওয়া চলছে।
চার অধ্যায় – রিসাফল করা প্রশ্নোত্তর (প্রশ্ন নম্বরসহ)
১. পরিদের রানির পরনে কী রঙের পোশাক ছিল ?
উঃ। পরিদের রানির পরনে গোলাপি রঙের পোশাক ছিল।
২. সং সপ্তাহে কতবার পোস্ট অফিসে যায় এবং কেন যায় ?
উঃ। সং সপ্তাহে দু-তিনবার পোস্ট অফিসে যায়। সে খোঁজ নেয় তার কাটা লটারির টিকিটের কোনো খবর এল কিনা।
৩. হোটেলওয়ালা কী কারণে সুরুয়াতে দাঁড়ি গোঁফ ফেলে দিয়ে রান্না করে।
উঃ। আগে হোটেলওয়ালার রান্না সুরুয়া মুখে দিলেই লোকে ওয়াক-থু বলে ফেলে দিত আর পয়সা ফেরত চাইত। তারপর আচমকা একদিন তার দাড়িগোঁফ খুলে সুরুয়ার মধ্যে পড়ে গিয়ে রান্না হয়ে গেল। আর সেদিন সবাই সুরুয়া খেয়ে সুখ্যাতি করতে লাগল। সেই থেকে হোটেলওয়ালা রান্নার সময় দাড়িগোঁফ সুরুয়াতে ফেলে দিয়ে রাঁধে।
৪. হোটেলওয়ালার জন্মদিনে রান্নার জন্য কে কী নিয়ে এসেছে ?
উঃ। হোটেলওয়ালার জন্মদিনে রান্নার জন্য গোয়ালা এক মণ দুধ দিয়ে গেছে, সং পাঁচ সের বাতাসা কিনে এনেছে। রাতে ভুনিখিচুড়ির জন্য সুগন্ধি চাল, পেস্তা, বাদাম, কিশমিশ এনেছে। আর শিকারীরা হরিণের মাংস দিয়ে যাবে বলে গেছে।
৫. মাঝপথে সোনা ও টিয়ারা কী কাণ্ড দেখল ?
উঃ। মাঝপথে সোনা ও টিয়ারা দেখলো খাকি কোট-পেন্টেলুন পরা একটা লোক কাঁধে থলে ও কোমরে লণ্ঠন বাঁধা, হাতে একটা লম্বা খাম নিয়ে ঝোপেঝাড়ে কাকে যেন খুঁজে বেড়াচ্ছে।
৬. হোটেলওয়ালা কীভাবে দাঁড়িগোঁফ শুকিয়েছিল ?
উঃ। হোটেলওয়ালা কাঠের হাতা দিয়ে সুরুয়া থেকে দাড়িগোঁফ তুলে বালতির জলে ধুয়ে, গাছের ডালে শুকোতে দিল।
৭. ক-টি বাঁদর খেলা দেখাতে এসেছিল ?
উঃ। চারটি বাঁদর খেলা দেখাতে এসেছিল।
৮. পরির রানিকে দেখতে কেমন ও তার পরনে কী পোশাক ছিল ?
উঃ। পরির রানির গোলাপি মুখে সুন্দর কালো কালো চোখ। মাথায় সোনালি চুল। আর তার গায়ে রুপোলি রঙের পোশাক।
৯. সং কোন অবস্থায় এসে হাজির হয়েছিল ?
উঃ। সং-এর চুল খাড়া, ঠিকরে বেরোনো চোখ, জামাকাপড়ে ধুলোবালি ও শুকনো পাতা লাগা এই অবস্থায় সং এসে হাজির হলো।
১০. হোটেলওয়ালা কীভারে সুরুয়া রান্না করে ?
উঃ। হোটেলওয়ালা রান্না করার সময় সুরুয়ার মধ্যে তার মুখের দাড়ি-গোঁফ খুলে ফেলে দেয়। সেই সুরুয়াই লোকে স্বর্গের সুরুয়া বলে খায়।
১১. হোটেলওয়ালা কী দিয়ে সুরুয়া রান্না করে ?
উঃ। হোটেলওয়ালা তার দাড়ি-গোঁফ দিয়ে সুরুয়া রান্না করে।
১২. পুলিশের ভয়ে সোনা ও টিয়াকে নিয়ে হোটেলওয়ালা কোথায় লুকিয়েছিল ?
উঃ। পুলিশের ভয়ে সোনা ও টিয়াকে নিয়ে হোটেলওয়ালা গাছ-ঘরে লুকিয়েছিল।
১৩. জঙ্গলে ওরা সে-দিন ক-জন লোককে দেখেছিল ?
উঃ। জঙ্গলে ওরা সে-দিন দুজন নতুন লোককে দেখেছিল।
১৪. বটতলার পিছনে ছোটো নদীটির ধারে কী কী শাকসবজি হয় ?
উঃ। সেখানে ছোটো বুনো মটরশুঁটি, গাছতলায় মিষ্টি শাকালু, পালংশাক, টম্যাটো, ডুমুর গাছে ডুমুর, সজনে গাছে সজনে হয়।
পঞ্চম অধ্যায় – রিসাফল করা প্রশ্নোত্তর
১. ঘড়িওয়ালা সম্পর্কে হোটেলওয়ালার কে হয় ?
উঃ। ঘড়িওয়ালা সম্পর্কে হোটেলওয়ালার ভাই হয়।
২. হোটেলওয়ালা কী হারিয়ে ফেলেছে ?
উঃ। হোটেলওয়ালা সং-এর টিকিটের আধখানা হারিয়ে ফেলেছে।
৩. মাকুকে বানাতে ঘড়িওয়ালার কতদিন সময় লেগেছিল ?
উঃ। ঘড়িওয়ালা প্রায় সতেরো বছর ধরে মাকুকে বানিয়েছিল।
৪. পেয়াদা কাদেরকে খুঁজছিল ?
উঃ। জঙ্গলে যারা থাকে তাদের পেয়াদা খুঁজছিল।
৫. পেয়াদা সোনাদের ধরতে গিয়ে কোথায় পড়ে গেল ?
উঃ। পেয়াদা সোনাদের ধরতে গিয়ে ফাঁদপাতা গর্তে পড়ে গেল।
৬. গেছো ঘরের দেয়াল ঘেঁসে সোনা টিয়া কাকে দেখেছিল ?
উঃ। সোনা টিয়া দেখেছিল গেছো ঘরের দেয়াল ঘেঁসে একপাশে কালো চাদর মুড়ি দিয়ে কে যেন শুয়ে আছে।
৭. ঘড়িওয়ালার কী ফুরিয়ে গিয়েছিল, তাই সে কী করতে পারবে না ?
উঃ। ঘড়িওয়ালার পয়সাকড়ি ও বিদ্যাবুদ্ধি ফুরিয়ে গিয়েছিল। তাই মাকুর জন্য কান্নার কল সে তৈরি করতে পারবে না।
৮. মাকু এখন কীভাবে ইচ্ছামতো চলে ?
উঃ। ঘড়িওয়ালা যেভাবে মাকুকে বানিয়েছিল সে সেভাবে নেই। তার কলের মধ্যে কী যেন এক অন্য শরীর গজিয়েছে। তার ফলে মাকু নিজের ইচ্ছেমতো চলে।
৯. পেয়াদাকে দেখে সোনা ও টিয়া দৌড় দিল কেন ?
উঃ। পেয়াদা ঘড়িওলা, মাকু ও সার্কাসের লোকজনদের ধরতে এসেছে ভেবে সোনা-টিয়া দৌড় দিয়েছিল।
১০. সোনা কাকে কোথায় ফেলে দেবে বলেছিল ?
উঃ। সোনা মাকুকে বাঘ ধরার ফাঁদে ফেলে দেবে বলেছিল।
১১. ঘড়িওয়ালার মাকুকে বানাবার একটা সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।
উঃ। ঘড়িওয়ালা প্রায় সতেরো বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে মাকুকে বানিয়েছে। বাড়িঘর ছেড়ে সে ঘড়ি কারখানায় পড়ে থাকত। ম্যানেজার তাকে তাদের নীচে শুতে দিত, আর ছাইপাঁশ খেতে দিত। সে রাত জেগে জেগে গুদাম থেকে সব বিলিতি ঘড়ির কলকবজা খুলে নিয়ে মাকুকে বানিয়েছে।
১২. জঙ্গলের পাতা ফাঁদগুলি কেমন তার বিবরণ দাও।
উঃ। জঙ্গলে ফাঁদ পাতার কয়েকটি পুরোনো গর্ত আছে। সেইগুলি বাঘ ধরার ফাঁদ না শুয়োর ধরার তা বলা যায় না। ফাঁদগুলি বহুদিনের পুরোনো। মাটিতে দু-মানুষ গভীর গর্ত, তার উপরটা লতাপাতাতে ঢেকে গিয়ে বুজে গেছে। কিন্তু তার উপর একবার পা পড়লে লোকজন বা জন্তুজানোয়ার তার ভেতরে গিয়ে পড়বে। তাই সেখানে ফাঁদ পাতা আছে। হোটেলওয়ালা সেখানে একটা বাঁশের খুঁটি পুঁতে রেখেছে যাতে লোকজন দেখতে পেয়ে সাবধান হয়।
১৩. সোনা কেন বাঁশের খুঁটি উপড়ে দিয়েছিল ?
উঃ। সোনা এদিক ওদিক দেখে বড়ো ফাঁদের কিনারা থেকে বাঁশের খুঁটি উপড়ে ফেলেছিল। কারণ সে ফাঁদের মধ্যে মাকুকে ফেলে দিতে, যাতে কেউ সোনা টিয়া দেখিয়ে না দিলে মাকুকে কেউ খুঁজে না পায়।
১৪. ঘড়িওয়ালার নামে হুলিয়া বেরিয়েছিল কেন? এর জন্য হোটেলওয়ালা তাকে কী বলেছিল ?
উঃ। মাকুর শরীরে যে সব বিলিতি কলকব্জা লাগানো তার দাম পাঁচ হাজার টাকা। সেই টাকার জন্য ঘড়িওয়ালার নামে হুলিয়া বেরিয়েছিল।
এর জন্য হোটেলওয়ালা তাকে ভাবনা করতে বারণ করে বলেছিল দু'মাস মাকুর খেলা দেখালে এরকম অনেক পাঁচ হাজার টাকা উঠে আসবে।
ষষ্ঠ অধ্যায় – প্রশ্নোত্তর
১. কোন্ বিষাক্ত সাপের কথা সোনা বলেছিল ?
উঃ। তক্ষক সাপের কথা সোনা বলেছিল।
২. কে কাকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছিল ?
উঃ। একটা ছুঁচো একটা ব্যাঙের ঠ্যাং ধরে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছিল।
৩. ছুঁচো আর ব্যাঙের ঘটনাটি কী ঘটেছিল ?
উঃ। সোনা-টিয়া দেখল ছুঁচোর মতো দেখতে একটা প্রাণী একটা ব্যাঙের পা ধরে হিচড়ে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। একটা চিঁচিঁ শব্দ হচ্ছে। টিয়া ছুঁচোটাকে তাড়িয়ে ব্যাংটাকে বাঁচায়।
৪. কে কাকে পোকা খাওয়াচ্ছিল ?
উঃ। ওপরের ডালে বসে মা দাঁড়কাক নীচের ডালে বসা ছানা দাঁড়কাককে পোকা খাওয়াচ্ছিল।
৫. খেলা দেখানোর আগে জানোয়ারদের কী খাওয়াতে হয় ?
উঃ। খেলা দেখানোর আগে জানোয়ারদের ভিটামিন ট্যাবলেট খাওয়াতে হয়।
৬. জানোয়ারদের ভিটামিনের গুলি খাওয়াতে হয় কেন ?
উঃ। ভিটামিনের গুলি না-খাওয়ালে জানোয়ারেরা রাতে খেলা দেখাতে পারবে না।
৭. কে ওষুধের কৌটো খুঁজছিল ? কীভাবে তা পাওয়া গেল এবং কাদের তা খাওয়ানো হল ?
উঃ। সং ওষুধের শিশি খুঁজছিল। রুমাল বের করার জন্য সং যেই পকেটে হাত দিয়েছে তখনই সে সবুজ রংয়ের কৌটো খুঁজে পেল। সেটি ছিল ভিটামিন বড়ি। একটুকরো গুড়ের সঙ্গে একটি করে বড়ি জানোয়ারদের মুখে ফেলে দেওয়া হল। তাই খেয়ে তারা মাথা নাড়িয়ে লেজ দুলিয়ে আহ্লাদ করতে লাগল।
৮. কে সোনাদের নতুন জামা কেনার পয়সা দিয়েছিল ?
উঃ। মাকু সোনাদের নতুন জামা কেনার পয়সা দিয়েছিল।
৯. সং সোনা-টিয়ার জন্য যে জামা কিনে এনেছিল, তা কেমন ছিল ?
উঃ। সঙের কেনা জামাটির রং ছিল একটা গোলাপি আর একটা ফিকে বেগুনি। জামাটির তলায় কুচি দেওয়া আর গলায় ছোটো একটা করে রূপালি ফুলের মতো বোতাম দেওয়া।
১০. মেম সোনাদের কী উপহার দিয়েছিল ?
উঃ। মেম সোনাদের একটা করে রেশমি ফিতে উপহার দিয়েছিল।
১১. মেম পার্টিতে কী ড্রেস পড়ে যাবে বলেছিল ?
উঃ। মেম পার্টিতে সোনালি ঘুণ্টি দেওয়া লাল গাউন পড়ে যাবে বলেছিল।
১২. সার্কাসের দড়িতে কে কী নিয়ে নাচে ?
উঃ। সার্কাসের দড়িতে কালো মেম ছাতা নিয়ে নাচে।
১৩. কে সোনা-টিয়ার জুতোয় পালিশ করে দিয়েছিল ?
উঃ। যে লোকটা ঘোড়ার খুরে পালিশ লাগাচ্ছিল সে সোনা-টিয়ার জুতো পালিশ করে চকচকে করে দিল।
১৪. কার পোশাক রোদে শুকোচ্ছিল ?
উঃ। রানির পোশাক রোদে শুকোচ্ছিল।
১৫. পরিদের রানির কী কী সাজ দেখা গিয়েছিল তার বিবরণ দাও।
উঃ। তারা দেখল পরিদের রানির পোশাক ঘাসের উপর শুকোতে দেওয়া আছে। সেই পোশাকের সর্বাঙ্গে ছোটো ছোটো রুপালি বুটি। পাশে রুপালি ডানা জোড়াও রয়েছে। তার পাশে কাগজের বাক্সে রানির মাথার তারা দেওয়া মুকুট, হাতের চাঁদ-বসানো রাজদণ্ড, গলার সীতাহার, হাতের তাগা, কানের ঝুমকো রাখা আছে। গয়নার সঙ্গে বসেছে রূপালি পাড় দেওয়া সাদা রেশমি রুমাল।
১৬. সে-দিন সার্কাসের জন্তুদের সাজের বিবরণ দাও।
উঃ। জানোয়ারদের পায়ে পালিশ লাগানো হচ্ছে। প্রত্যেকে চান করেছে, গায়ে মাথায় বুরুশ করেছে। তাদের গলার ঘণ্টি আর কলার আজ সব ভালোভাবে পরিষ্কার করে ঝকঝকে করে দেওয়া হয়েছে।
১৭. বিকেলে সার্কাসে কী কী খেলা হবে? কোন্ খেলা কেন জমাতে হবে ?
উঃ। সার্কাসে প্রথমে হবে দড়াবাজির খেলা। তারপর কুকুরদের খেলা শেষে জাদুর খেলা হবে। জাদুকর পরিদের রানিকে নামাবে।
দড়াবাজির খেলা প্রথমেই জমাতে হবে। কারণ দড়াবাজির মতো খেলা হয় না, সে খেলা গোড়াতে না জমলে লোকে শেষ অবধি বসে থাকবে না।
সপ্তম অধ্যায় – প্রশ্নোত্তর
১. প্রজাপতির পা কীসে জড়িয়ে যায় ?
উঃ। করমচা ডালের মধ্যে ঝোলানো বড়ো মাকড়সার মোটা জালে প্রজাপতির পা জড়িয়ে যায়।
২. সোনা-টিয়ার দেখা প্রজাপতিটি কেমন ছিল ?
উঃ। সোনা-টিয়ার নাকের সামনে দিয়ে এক প্রকাণ্ড বড়ো প্রজাপতি উড়ে যায়। তার গায়ে নীল, সবুজ, সাদা-কালো বর্ডার দেওয়া রঙের বাহার ছিল এবং লাল সুতো আঁকা রামধনু রঙের চোখ বসানো ছিল।
৩. প্রজাপতির পিছনে সোনা-টিয়ার দৌড়োনোর ঘটনাটি বলো।
উঃ। প্রজাপতিটি মাঝে মাঝে বসে মধু খায়, আবার উড়ে পালায়। সোনা-টিয়া ওর পেছনে দৌড়ায়। একসময় প্রজাপতির পা মাকড়সার জালে জড়িয়ে যায়। সোনা জাল ছিঁড়ে দিয়ে প্রজাপতিকে উড়িয়ে দেয়।
৪. আম্মা প্রজাপতিদের সম্বন্ধে কী বলেছেন ?
উঃ। আম্মা বলেছেন, প্রজাপতির ডানার রঙের গুঁড়ো হাতে লেগে গেলে তারা উড়তে পারে না, মাটিতে পড়ে যায় এবং কাক ও মাকড়সারা তাদের মেরে ফেলে।
৫. সং জানোয়ারদের কী খাইয়ে দিয়েছিল ?
উঃ। সং জানোয়ারদের ভিটামিনের বদলে ভুল করে কড়া জোলাপ খাইয়ে দিয়েছিল।
৬. কতক্ষণ বাদে জানোয়ারদের খেলা দেখাবার কথা ?
উঃ। পাঁচ ঘণ্টা বাদে জানোয়ারদের খেলা দেখানোর কথা।
৭. মাকু কোন বাজনা বাজাতে পারে ?
উঃ। মাকু কলের মানুষ হলেও ক্ল্যারিনেট বাজাতে পারে।
৮. মাকু কাকে বিয়ে করতে চেয়েছিল ?
উঃ। মাকু পরিদের রানিকে বিয়ে করতে চেয়েছিল।
৯. কে মাকুকে কাঁদার কল দেবে বলল ?
উঃ। সোনা মাকুকে কাঁদার কল দেবে বলল।
১০. কী খাওয়ার জন্য ঘড়িওয়ালা কেঁদে উঠেছিল ?
উঃ। মায়ের হাতের মোচার ঘন্ট খাওয়ার জন্য ঘড়িওয়ালা কেঁদে উঠছিল।
১১. কত লোক আগাম টিকিট কেটে রেখেছে ?
উঃ। তিন গাঁয়ের লোক আগাম টিকিট কেটে রেখেছে।
১২. সোনা বুক ফুলিয়ে কী কী জানার কথা বলেছিল ?
উঃ। সোনা বুক ফুলিয়ে বলেছিল সে যোগ-বিয়োগ, ছোটো নদী, দিনরাত এসব জানে।
১৩. পেয়াদা আসতে পারবে না কেন ?
উঃ। পেয়াদা এখন বাঘের গর্তের ফাঁদে পড়ে চেঁচাচ্ছে, তাই আসতে পারবে না।
১৪. বাঘের ফাঁদের গর্ত থেকে কীসের আওয়াজ আসছিল ?
উঃ। বাঘের যাঁদের গর্ত থেকে চেঁচামেচির আওয়াজ আসছিল।
১৫. দুটো করমচা গাছের মাঝখানে কী ছিল ?
উঃ। দুটো করমচা গাছের মাঝখানে মাকড়সার জাল ছিল।
১৬. সবাই মাকুকে খুঁজতে গেলে, হোটেলওয়ালা কী খোঁজে ?
উঃ। সবাই মাকুকে খুঁজতে গেলে, হোটেলওয়ালা টিকিটের আধখানা খুঁজতে থাকে।
১৭. হোটেলের মালিক জাদুকরকে নষ্টের গোড়া বলেছিল কেন ?
উঃ। জাদুকরের পরির রানির খেলা দেখে মাকু তাকে বিয়ে করতে চায়। এই কারণে সে ঘড়িওয়ালার কাছে কাঁদার কল চাইতে যায়, আর ঘড়িওয়ালা পালায়। তাই মাকুর পালানোর জন্য হোটেলওয়ালা জাদুকরকে দায়ী করে।
১৮. মাকুর পালানোর কারণ জেনে জাদুকর কী বলেছিল ?
উঃ। জাদুকর বলেছিল, এত সামান্য কারণে মাকু পালাল? আগে জানলে রোজ পরিদের রানির সঙ্গে ওর বিয়ে দিতাম। এতে লোকও আসত, টাকা হতো, সার্কাস পার্টির ধারও শোধ হয়ে যেত।
অষ্টম অধ্যায় – প্রশ্নোত্তর
১. নেনো কার নাম ছিল ?
উঃ। সোনাদের পোষা কুকুরের নাম ছিল নেনো।
২. ঝোপের মধ্যে মোট ক-টা খরগোশ ছিল ?
উঃ। ঝোপের মধ্যে মোট তিনটি খরগোশ ছিল।
৩. কে খরগোশ বিক্রি করে অনেক পয়সা রোজগার করে ?
উঃ। আম্মার এক ছেলে রঙা খরগোশ বিক্রি করে অনেক পয়সা রোজগার করে।
৪. সোনা কাকে নাচতে বারণ করল এবং কেন ?
উঃ। সোনা বনময়ূরকে নাচতে বারণ করল, পাছে বৃষ্টি নেমে যায়।
৫. সং সোনাকে জাদুকর কী দেবে বলেছিল ?
উঃ। সং বলেছিল জাদুকর সোনাকে বড়ো প্যাপ্যা পুতুল দেবে।
৬. বনের মধ্যে গাছের নীচে সোনা ও টিয়া কী করতে লাগল ?
উঃ। সোনা ও টিয়া ময়লা জামা পরে নাচতে গাইতে লাগল।
৭. সাপেরা কীভাবে ছুটতে পারে না ?
উঃ। সাপেরা পাশের দিকে ছুটতে পারে না।
৮. ঝোপের মধ্যে থেকে কে বেরিয়ে এসে কী করতে লাগল ?
উঃ। একটি বড়ো ডোরাকাটা সাপ বেরিয়ে এসে কুণ্ডুলি পাকিয়ে ফণা তুলে দুলতে আরম্ভ করল।
৯. মাকুর চাবি ফুরিয়ে গেলে কী হবে ?
উঃ। মাকুর চাবি ফুরিয়ে গেলে সে এলিয়ে পড়বে, তখন তাকে ঘড়িওলার কাছে দিতে হবে।
১০. কেউ তাদের খুঁজতে না আসায় সোনার বুকটা ধড়াস করে উঠেছিল কেন ?
উঃ। সোনা-টিয়া রাতে বাড়ি যায়নি, কিছুই খায়নি বা জামা ছাড়েনি, তবুও কেউ তাদের খুঁজতে না আসায় সোনার ভয়ে বুক ধড়াস করে উঠেছিল।
১১. মাকুকে না পেয়ে টিয়া সোনাকে কী প্রশ্ন করেছিল? উত্তরে সোনা কী বলেছিল ?
উঃ। টিয়া প্রশ্ন করেছিল ষষ্ঠীঠাকরুণ মাকুকে খেয়ে ফেলেছে কিনা। সোনা রেগে বলেছিল মাকু টিন, রবার, স্প্রিং আর প্লাস্টিকে তৈরি – তাকে কেউ খেতে পারবে না।
১২. বনের মধ্যে ঠেলেঠুলে ঢুকে সোনা-টিয়া অবাক হয়ে কী দেখল ?
উঃ। তারা দেখল কচি দুর্বাঘাসে ঢাকা ফাঁকা জায়গায় একটি সাদা ধবধবে মা খরগোশ ও দুইটি তুলোর মতো বাচ্চা কাঁপতে কাঁপতে ওদের দিকে চেয়ে আছে।
১৩. সোনা ও টিয়া বনের মধ্যে নাচার সময় কী হয়েছিল ?
উঃ। নাচার সময় গাছ থেকে সাদা ফুল পড়তে লাগল, তারা ফুল কানে গুঁজল। একজোড়া সবুজ পায়রা গাছে বসলো, কাঠঠোকরারা তাল দিল, বনময়ূর নাচতে লাগল।
১৪. বটতলায় সোনা কী করলো ?
উঃ। সোনা ও টিয়া দুধের কড়ায় মিছরির ঠোঙা ও বিসমিশ মিশিয়ে দিল। তারপর খেজুর ও জল খেয়ে নদীতে হাত-মুখ ধুয়ে গাছঘরে উঠে ঘুম দিল।
নবম অধ্যায় – প্রশ্নোত্তর
১. গাছতলায় কী কী পড়ে রইলো ?
উঃ। গাছতলায় গামলা ভরা ভাজা মাছ, বালতি ভরা মশলামাখা মাংস, থলি ভরা বাসমতি চাল পড়ে রইল। উনুন জ্বলে জ্বলে নিভে গেল, কেউ দেখবার রইল না।
২. মাকু কোথায় আটকা পড়েছিল ?
উঃ। মাকু খরগোশ ধরার ফাঁদে আটকা পড়েছিল।
৩. মাকু নড়ছিল না কেন ?
উঃ। মাকুর চাবি ফুরিয়ে গিয়েছিল বলে সে আর নড়ছিল না।
৪. জাদুকর সোনাদের কী দিয়েছিল ?
উঃ। জাদুকর সোনাদের দুটি খরগোশ-ছানা দিয়েছিল।
৫. সং সোনাদের কী দিয়েছিল ?
উঃ। সং সোনাদের পুঁতি দিয়ে গাঁথা মালা দিয়েছিল।
৬. ঘাস জমিতে কে সোনাদের সাজিয়ে দেবে ?
উঃ। ঘাস জমিতে মেম সোনাদের সাজিয়ে দেবে।
৭. দুপুরে বেশি ঘুমুলে সোনার কী হয় ?
উঃ। দুপুরে বেশি ঘুমালে সোনার মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।
৮. সঙেদের থলিতে কত পয়সা জমা হয়েছে ?
উঃ। সঙেদের থলিতে দেড় হাজারের বেশি দশ পয়সা জমা হয়েছে।
৯. মাকুকে কোথায় পাওয়া গেলো? তাকে কোথায় রাখা হলো ?
উঃ। মাকুকে বাঁশবনে খরগোশ ধরার ফাঁদে আটকে পাওয়া গেল। এখন তাকে কুকুরদের ঘরে রাখা হয়েছে।
১০. মাকু সার্কাস পার্টিকে কী করে দিতে পারে ?
উঃ। মাকু একটি সোনার খনি। সে সার্কাস পার্টিকে বড়োলোক করে দিতে পারে।
নয় অধ্যায় (মাকু) — অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর
১. মাকু কীভাবে গান গাইতে শুরু করেছিল ?
উত্তর: এক হাত কোমরে, অন্য হাত আকাশে তুলে বিলি কায়দায় গান গাইতে শুরু করেছিল।
২. সার্কাসে সবার শেষে কী হয়েছিল ?
উত্তর: মাকুর সঙ্গে পরিদের রানির বিয়ে হয়।
৩. হোটেল মালিক হাসতে-কাঁদতে কী বলেছিল ?
উত্তর: সে জানায়, সব শোধ করে আবার নতুন করে সার্কাস শুরু করবে।
৪. সোনা-টিয়ার পিসেমশাই কেন বনে এসেছিলেন ?
উত্তর: নোটো অধিকারী ও ঘড়িওয়ালাকে ধরতে এসেছিলেন কারণ তিনি পুলিশ অফিসার।
৫. পিয়নের নাম কী ছিল ?
উত্তর: ফেলারাম।
৬. সং কত টাকা পুরস্কার পেয়েছিল ?
উত্তর: পাঁচ হাজার টাকা।
৭. হলুদ ও সবুজ প্যাকেটে কী ছিল ?
উত্তর: হলুদে পুঁতিমুক্তোর মালা, সবুজে রেশমি রুমাল।
৮. জাদুকর শেষ পর্যন্ত কী বুদ্ধি করেছিল ?
উত্তর: বড়ো আলো নিভিয়ে দেয়।
৯. গোলাপি মোড়ক থেকে কী বের হয়েছিল ?
উত্তর: সোনার সিঁদুর পরার রূপোর কাঠি।
১০. সং সার্কাসে কী কাণ্ড করেছিল ?
উত্তর: গালে চুন-কালি মেখে, টুপি পরে ডিগবাজি খেলে, তালি দেয়।
১১. মাকুর শরীরে কল কোথায় ছিল ?
উত্তর: নাকের নিচে, কালো তিলের নিচে।
১২. টিয়া মাকুর চাবি কোথায় রেখেছিল ?
উত্তর: নিজের ঝোলার ভিতরে।
১৩. জাদুকর সোনা ও টিয়াকে কী উপহার দিয়েছিল ?
উত্তর: দুটি সাদা খরগোশ, গলায় ঘণ্টি বাঁধা।
১৪. সোনা কীভাবে মাকুকে কাঁদাল ?
উত্তর: রবারের নল দিয়ে জল ঢেলে, চাবি ঘুরিয়ে।
১৫. ঘড়িওয়ালা মুখে চোঙা লাগিয়ে কী বলেছিল ?
উত্তর: খেলা শেষ, সবাই “সাধু! সাধু!” বলুক।
১৬. মাকুর বিয়ের বিবরণ লেখো।
উত্তর: ঘোড়ায় চড়ে রানি আসে, মালা-টোপর পরে বিয়ে হয়, ঢাক বাজে।
১৭. মাকুকে কোথায় পাওয়া গিয়েছিল এবং তাকে কেমন সাজানো হয়েছিল ?
উত্তর: বাঁশবনে ফাঁদে আটকে পাওয়া যায়, কুকুর ঘরে রাখা হয়, রং-মেকআপে সাজানো হয়।
১৮. সোনা ও টিয়া দর্শকদের সামনে কী গান গেয়েছিল ?
উত্তর: "ফুল কলি অলি গুণগুণ গুঞ্জনে"।
১৯. কে সোনা ও টিয়াকে সাজিয়ে দিয়েছিল ?
উত্তর: মেমসাহেব।
২০. সার্কাসে কে রিং মাস্টারের ভূমিকায় ছিল ?
উত্তর: হোটেল মালিক।
২১. ঘড়িওয়ালারা মায়ের কাছে কী খেতে চেয়েছিল ?
উত্তর: চাপড় ঘণ্ট, মোচা চিংড়ি, দুধপুলি।
২২. সোনা পুঁটলি খুলে কী বের করেছিল ?
উত্তর: ফুটো জ্যামের টিন, কেরোসিন ফোঁদল, রবারের নল।
২৩. জাদুকরের টাকার ভাবনা ছিল না কেন ?
উত্তর: সাড়ে তিন গাঁর লোক এসেছিল, দেড় হাজার টাকার বেশি জমা হয়েছিল।
২৪. টিয়া মাকুর জন্য কী রঙের চাবি বানিয়েছিল ?
উত্তর: গোলাপি রঙের।
২৫. মাকুর আসল পরিচয় কী ?
উত্তর: সোনা ও টিয়ার পিসেমশাই।
২৬. দূরের ছাউনিতে কী শব্দ শোনা যাচ্ছিল ?
উত্তর: কুকুরের ডাক ও ঘোড়ার পা ঠোকার শব্দ।
২৭. মাকু কোন গানটি গেয়েছিল ?
উত্তর: “Yankee Doodle went to town riding on a pony”।
২৮. মাকু কী কী করেছিল ?
উত্তর: নাচ, গান, পেরেক ঠোকা, সাইকেল, টাইপ, কুস্তি।
২৯. কোন কাজটিকে জাদুকর অসভ্যতা বলেছিল ?
উত্তর: সোনা ও টিয়ার কানে কানে কথা বলা।
৩০. পোস্টমাস্টার কী বলেছিল ?
উত্তর: সং লটারি জিতেছে, টিকিট জমা দিলে টাকা পাবে।
৩১. হোটেল মালিকের আসল পরিচয় কী ?
উত্তর: সে নোটো অধিকারী।
৩২. মাকুর কানে ধরে ঘড়িওয়ালা কী করেছিল ?
উত্তর: মাথা খুলে ফেলে।
৩৩. বটতলার গাছে কে বসে চিৎকার করছিল ?
উত্তর: সোনা ও টিয়ার ঠামু।
৩৪. পুলিশ পেয়াদারা কী সাহায্য করছিল ?
উত্তর: রান্না ও খাবারের জায়গা তৈরি করতে।
৩৫. পোস্টঅফিসের পিয়ন কীভাবে গর্ত থেকে উঠেছিল ?
উত্তর: তিনজন পেয়াদার সাহায্যে।
৩৬. কার সঙ্গে মাকুর বিয়ে হয়েছিল ?
উত্তর: পরিদের রানির সঙ্গে।
৩৭. কে মাকুকে দিয়ে খেলা দেখিয়েছিল ?
উত্তর: ঘড়িওয়ালা।
৩৮. সোনা ও টিয়া কাকে নিয়ে খুশি হয়েছিল ?
উত্তর: তাদের পিসেমশাই (মাকু)-কে ফিরে পেয়ে।
মাকু গল্প – হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নোত্তর (অতি সংক্ষিপ্ত)
১. পিসেমশাই কী চাকরি করতেন?
উঃ: সোনা-টিয়ার পিসেমশাই ছিলেন পুলিশের বড় অফিসার।
২. টিয়া যে চাবি দিয়ে মাকুকে চালু করেছিল সেটা কী?
উঃ: গোলাপি রঙের ছোট কাঠি, যা আসলে ছিল সংয়ের লটারির টিকিট।
৩. সোনা-টিয়া যাকে পেয়াদা ভেবেছিল, সে আসলে কে?
উঃ: সে ছিল পোস্ট অফিসের পিয়ন, পেয়াদা নয়।
৪. ‘স্বর্গের সুরুয়া’ কেমনভাবে রান্না হতো?
উঃ: সুরুয়া গোপনে রান্না করে, ফুটন্তে দাড়ি-গোঁফ ফেলে স্বাদ বাড়ানো হতো।
৫. জাদুকর সোনা-টিয়াকে কী দিয়েছিল?
উঃ: দুটি সাদা খরগোশের বাচ্চা, যাদের গলায় ঘণ্টি বাঁধা ছিল।
৬. সং কে? সে বনে কী করছিল?
উঃ: সং এক খেলা দেখানো চরিত্র, সে বনে জন্তুদের জল খাওয়াতে এসেছিল।
৭. আম্মা কে ছিলেন?
উঃ: আম্মা ছিলেন বাপির ছোটবেলার ধাইমা, যাকে বাপি 'আইমা' বলে ডাকত।
৮. ঘড়িওলার দাদা কে ছিলেন?
উঃ: ঘড়িওলার দাদা ছিলেন হোটেলওয়ালা, যিনি আসলে নোটো মাস্টার।
নিচে "মাকু" গল্পের হাতে-কলমে অনুশীলনের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (শব্দসংখ্যা ৫০-১০০) অংশটি রিরাইট ও রিশাফল করে উপস্থাপন করা হলো—
১. হোটেলওলাকে কেমন দেখতে? সে কীভাবে সোনা-টিয়াকে সাহায্য করেছিল?
উত্তর: হোটেলওলার মুখে ঝুলন্ত গোঁফ আর ছাই রঙের থুতনি-ঢাকা দাঁড়ি ছিল। দেখে মনে হতো যেন সে সদ্য ধোপার বাড়ি থেকে ফিরেছে। সে সোনা-টিয়াকে সাহায্য করেছিল মাকুর রহস্যভেদ করতে এবং তার কার্যক্ষমতা বোঝাতে, কারণ সে ছিল ঘড়িওলার দাদা, অর্থাৎ আসলে নোটোমাস্টার।
২. ঘড়িওলার হ্যান্ডবিলে কী লেখা ছিল?
উত্তর: হ্যান্ডবিলে বড় বড় অক্ষরে লেখা ছিল—
“মাত্র পঁচিশ পয়সায়!
অদ্ভুত! অত্যাশ্চর্য!!
মাকু দি গ্রেট!!!
অভাবনীয় দৃশ্য দেখে যান।”
এই ঘোষণা লোকেদের কৌতূহল জাগিয়ে তুলত মাকুর খেলা দেখার জন্য।
৩. কালিয়ার বনে যেতে হলে কীভাবে যেতে হয়?
উত্তর: প্রথমে গলির পর বড়ো রাস্তা, তারপর গির্জা ও গোরস্থান। গোরস্থানের পরেই শুনশুনির মাঠ দেখা যায়। সেই মাঠ পেরিয়ে ঘন নীল কালিয়ার বনের দেখা মেলে। সেখানে গোরস্থানের পাশ দিয়ে হনহনিয়ে হেঁটে যেতে হয়।
৪. ‘বাঘধরার বড়ো ফাঁদ’ দেখতে কেমন ছিল?
উত্তর: এটি ছিল মাটিতে প্রায় দুই মানুষ গভীর গর্ত, যার ওপর খড়কুটো ও লতাপাতা দিয়ে ঢেকে রাখা হতো। শস্য খেতে এলে শূকররা সেই ফাঁদে পড়ে যেত। এটি ছিল একধরনের শিকারি কৌশল।
৫. মাকুর চাবি কতদিনের জন্য দেওয়া হয়েছিল? পরে কী ঘটতে পারত?
উত্তর: ঘড়িওলা মাকুর চাবি এক বছরের জন্য দিয়েছিল। ইতিমধ্যে সাড়ে এগারো মাস কেটে গেছে, আর মাত্র ১৫ দিন বাকি। চাবির সময় ফুরিয়ে গেলে মাকু নেতিয়ে পড়ত এবং কেউ হয়তো তার যন্ত্রাংশ খুলে নিত।
৬. সং কেন সপ্তাহে তিনবার পোস্ট অফিসে যেত?
উত্তর: সং লটারির টিকিট কিনেছিল এবং সে চেয়েছিল যেন একদিন হঠাৎ বড়লোক হয়ে যায়। সেই আশায় সে নিয়মিত পোস্ট অফিসে যেত খবর নিতে, যদি সে কখনও বিজয়ী হয়।
৭. সং-এর লটারির টিকিটের আধখানা কীভাবে হারিয়ে গেল?
উত্তর: সংয়ের লটারি টিকিটের আধখানা হোটেলওলা একদিন কৌতূহলে কানে গুঁজে দেখছিল। সেখান থেকে সেটি কখন যে পড়ে গিয়ে হারিয়ে যায়, সে নিজেও বুঝতে পারেনি।
৮. টিয়া কীভাবে মাকুকে আবার চালু করল?
উত্তর: টিয়া গোলাপি কাঠির মতো দেখতে একটি বস্তু দিয়ে মাকুকে হাওয়া দেয়। চাবি ঘোরানো বন্ধ হয়ে গেলেও সে ভাবে পুরোটা দম দেওয়া হয়ে গেছে। ঘড়িওলা কিছু বলার আগেই টিয়া মাকুর নাকের কলটি পুট করে চেপে দেয়, আর তখনই মাকু চালু হয়ে যায়।
৯. হোটেলওলা আসলে কে ছিল?
উত্তর: গল্পে হোটেলওলা ছিলেন ঘড়িওলার দাদা, যাকে বলা হয়েছিল নোটোমাস্টার। তিনি ছিলেন এক রহস্যময় ব্যক্তি, যিনি মাকুর পিছনে লুকানো কাহিনি জানতেন।
১০. সং-এর হারানো লটারির টিকিটের আধখানা কীভাবে পাওয়া গেল?
উত্তর: টিয়া বটতলার পাশে পড়ে থাকা কিছু একটা কুড়িয়ে পেয়েছিল। সেটা দেখতে সিঁদুরের কাঠির মতো হলেও, তা আসলে সংয়ের লটারি টিকিটের আধখানা ছিল। সে সেটি পুটলিতে রেখে দিয়েছিল।
নিচে তোমার দেওয়া ১২টি প্রশ্ন ও উত্তর নতুনভাবে পুনর্বিন্যাস (reshuffle) করে সাজিয়ে দেওয়া হলো, যাতে Blogger পোস্টে আরও আকর্ষণীয় ও স্বতঃস্ফূর্ত লাগে:
মাকু — প্রশ্নোত্তরের র্যান্ডম সাজানো সেট (সংক্ষিপ্ত ও পরিপাটি)
১. হোটেল বলতেই ‘এলাহি ব্যাপার’ – কেন এমন বলা হয়েছিল?
উত্তর: কারণ বনের হোটেলটি ছিল সত্যিই অসাধারণ—গাছে ঝুলছে বড় লন্ঠন, বিশাল হাঁড়িতে টগবগ করে রান্না হচ্ছে, চারদিকে সুগন্ধে ভরপুর। গাছের গুঁড়িতে কাঁচা কাঠের তক্তা পেতে চলছে খাওয়া-দাওয়া। লোকেরা রঙিন পোশাকে গাছের ডালে বসে আছে, যেন এক মহোৎসব।
২. মাকু কে ছিল এবং সে ঘড়িওলাকে কেন খুঁজছিল?
উত্তর: মাকু ছিল যন্ত্রমানব। আসলে সে ছিল সোনা-টিয়ার পিসেমশাই—একজন পুলিশ অফিসার। তিনি ঘড়িওলাকে খুঁজছিলেন, কারণ সে ছিল ফেরারি আসামি।
৩. ঘড়িওলা কেন বনে লুকিয়ে বেড়াত?
উত্তর: ঘড়িওলা অনেক টাকা নিয়ে পালিয়ে গিয়ে ফেরারি হয়ে পড়েছিল। পুলিশের ভয়ে সে বনে লুকিয়ে থাকত, মাঝে মাঝে দাদার কাছে গোঁফ জোড়া দিতে আসত।
৪. সোনা-টিয়া বনের মধ্যে কোন কোন প্রাণী দেখেছিল?
উত্তর: সোনা-টিয়া বনে দেখেছিল বাঁদর, ছাগল, ভাল্লুক, কুকুর, খরগোশ, প্রজাপতি ইত্যাদি জন্তু-জানোয়ার।
৫. হোটেলওলাই নোটো অধিকারী – কীভাবে সেটা ধরা পড়ে?
উত্তর: যখন পিসেমশাই (পুলিশ অফিসার) বনের হোটেলওলাকে চিহ্নিত করেন, তখন বোঝা যায় তিনিই বহুদিন ধরে খোঁজা নোটো অধিকারী।
৬. সার্কাসের লোকেরা কেন বনের মধ্যে ছিল?
উত্তর: তারা বনে খেলা দেখিয়ে আয় করত, যাতে সেই টাকায় তাদের দেনা শোধ করা যায়। এই কথা হোটেলওলা সোনা-টিয়াকে ব্যাখ্যা করে।
৭. সোনা-টিয়া কীভাবে বাড়ি ফিরেছিল?
উত্তর: সোনা-টিয়া জিপ গাড়িতে ঠাম্মার পাশে বসে হাই তুলে বলল, “প্যাঁ-প্যাদের আমাদের কোলে দাও, ঘুম পেয়েছে, বাড়ি চলো।” এভাবেই সে বাড়ি ফেরে।
৮. মাকু কীভাবে কাঁদতে পারল?
উত্তর: যন্ত্রমানব মাকুর চাঁদির ঢাকনা খুলে ভেতরে জ্যামের টিনে জল ঢালতেই সে হাপুস নয়নে কাঁদতে শুরু করে।
৯. নদীতে জানোয়ারদের চান করার দৃশ্য কেমন ছিল?
উত্তর: ছোট নদীর ধারে সোনা-টিয়া দেখে ঘোড়া, বাঁদর, ছাগল, ভাল্লুকসহ নানা জানোয়ার জলের কাছে এসেছে। কেউ চান করছে, কেউ জল খাচ্ছে। চারদিক কিচিমিচি আর ছলছল শব্দে মুখরিত।
১০. ‘মাকু’ পড়ে কেমন লাগল? কোন চরিত্র সবচেয়ে ভালো লাগল?
উত্তর: গল্পটি খুব ভালো লেগেছে। সবচেয়ে ভালো লেগেছে সোনা-টিয়ার চরিত্রটি—তার সরলতা, সাহস আর চোখে দেখা অ্যাডভেঞ্চার মন ছুঁয়ে যায়।
১১. ‘মাকু’ নামের বদলে ‘সোনা-টিয়ার অ্যাডভেঞ্চার’ রাখলে কেমন হতো?
উত্তর: নামটি পরিবর্তন করলেও মানানসই হতো, কারণ পুরো গল্প জুড়েই সোনা-টিয়ার অভিজ্ঞতা ও অভিযান নিয়ে বর্ণনা করা হয়েছে।
১২. হোটেলওলার জন্মদিনের উৎসব কেমন ছিল?
উত্তর: (এই প্রশ্নের উত্তর আগেরটায় পাওয়া যায়নি। চাইলে আমি গল্প অনুযায়ী কল্পনাশক্তি ব্যবহার করে সুন্দরভাবে সংক্ষিপ্ত উত্তর তৈরি করে দিতে পারি।)